Ad Code

সকল সঞ্চয়পত্র ক্রয়, নগদায়ন, মুনাফা উত্তোলনের নতুন ও সঠিক নিয়ম।


সঞ্চয়পত্র: বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র সঞ্চয় “জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের” মাধ্যমে আহরণ করার উদ্দেশ্যে ও জনগণকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা এবং সাধারনের নির্ঝঞ্ঝাট অর্থ বিনিয়োগের পথ প্রশস্থ করার অন্য নাম সঞ্চয়পত্র।
সাধারন_মানুষের হাতে জমানো টাকা লম্বা সময়ের জন্যে ফেলে না রেখে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগে মুনাফা লাভ, দেশের বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠী যেমন- মহিলা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আর্থিক ও সামাজিক_নিরাপত্তা বেষ্টনীর আও’তায় আসার সুযোগ এবং সরকারের সঞ্চয়-স্কীমের মাধ্যমে আহরিত অর্থ  দ্বারা জাতীয়’ বাজেট’ ঘাটতি-পূরণ করার সুযোগ। সব সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশ ব্যাংকবাণিজ্যিক ব্যাংক, ডাকঘর জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো থেকে কেনা ও নগদায়ন করা যায়।
সকল সঞ্চয়পত্র ক্রয়, নগদায়ন, মুনাফা উত্তোলনের নতুন ও সঠিক নিয়ম।
বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয়পত্র 

 
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। বলা যায় একেবারে চূড়ান্ত তলানিতে। বর্তমানে সুদের হার নয়-ছয় করার তোড়জোড়ে ব্যাংকে স্থায়ী আমানতেও (এফডিআর) আর আগের মতো সুবিধা মিলবে না কিছুতেই এখন দেশের সাধারণ মানুষ, সঞ্চয়প্রবণ নারী, অবসরভোগী মানুষসবাই তাহলে যাবেন কই? কীভাবে দেবেন তাঁরা বাচ্চার স্কুলের বেতন? কই পাবেন ওষুধ খরচ? কোথা থেকে জোগাবেন মাসিক চলার খরচ? আর এসব প্রশ্নের জবাবে- নির্দ্বিধায় তাদের জন্য সরকারের একটি দরজা এখনো খোলা রয়েছেসেটা হচ্ছে সঞ্চয়পত্র যদিও “সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন একটু কড়া হয়েছে, কিন্তু নিয়মকানুন মেনে চলা মানুষদের জন্য সঞ্চয়পত্র ছাড়া ভরসার আর কোনো জায়গাই এখন আর নেই বল্লেই চলে


কোথায় টাকা রাখলে লাভ বেশি?

এখনো সবচেয়ে বেশি সুদ বা মুনাফা পাওয়া যায় একমাত্র “সঞ্চয়পত্র থেকেই। তবে একটু জটিলতা ও রয়েছে। এক লাখ টাকার বেশি হলেই ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে কিনতে হবেগত ১ জুলাই থেকে এ নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেকেই “সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে সরকারও বেশ নির্ভার ভুমিকা পালন করছে এর অবশ্য কারণও আছে, গত ১১ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে অন্তত ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকাই সুদ হিসেবে দিতে হয়েছে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের।

অন্নদিক থেকে সরকারের সুখবর হচ্ছে, গ্রাহকদের সুদ দেয়ার জন্য এখন আর সরকারকে বেশি টাকা গুনতে হবে না। আর সরকার ঠিকই এখন তার টাকার প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছে ব্যাংক থেকে ধার করে সঞ্চয়পত্রের চেয়েও স্বল্প সুদে তবে এটি অবশ্য অন্য আলোচনার মধ্যে পরে 

গ্রাহকদের দিক থেকে ভাবতে গেলে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি অনেকটা কমেছে। অর্থাৎ সরকার আয়োজন রাখলেও খুব বেশি মানুষ সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ নিতে পারছেন না। বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আগেরবারের একই সময়ের তুলনায় বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ৭৩ শতাংশ। 

বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামছুন্নাহার বেগম বলেন, “এ খাত এখন একটি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে চলা শুরু করছেএখন সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ যাদের জন্য প্রযোজ্য করা হয়েছে, কেবল তাঁরাই তা নিতে পারছেন

Read More: 

5 steps to financial freedom

How to Make Money Writing Blog Content

MAKING MONEY THROUGH WRITING: APPROVED PLACES

সঞ্চয়পত্র কত প্রকার

সকল সঞ্চয়পত্র ক্রয়, নগদায়ন, মুনাফা উত্তোলনের নতুন ও সঠিক নিয়ম।


বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছেঃ 
১. পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
২. পরিবার সঞ্চয়পত্র
৩. তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
৪. পেনশনার সঞ্চয়পত্র


১. বাংলাদেশসঞ্চয়পত্র {৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র}


·         পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রঃ মুনাফার হার মেয়াদ শেষে ১১.২৮%
·         চালু হয় ১৯৭৭ সালেএটি দেশের সবচেয়ে পুরোনো সঞ্চয়পত্র। দেশের যে কোনো নাগরিক এটা কিনতে পারবেন
·         ১০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা, ৫০০০ টাকা, ১০০০০ টাকা, ২৫০০০ টাকা, ৫০০০০ টাকা, ১ লক্ষ টাকা, ৫ লক্ষ টাকা ও ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের  সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়।
·         “বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র” ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ ও যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত  কেনা যায়।
·         তবে, প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নির্ধারিত করা নেই। 

২. পরিবার সঞ্চয়পত্র


·         পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রঃ মেয়াদ শেষে ১১.৫২% মুনাফা পাওয়া যায়।
·         ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে সঞ্চয়পত্রটি বিক্রি হয়
·         ২০০৯ সালে চালু হয়
·         সঞ্চয়পত্র থেকে মাসিক মুনাফা পাওয়া যায়।
·         একজন বেক্তি সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন
·         তবে এই সঞ্চয়পত্র সবাই কিনতে পারেন না। কেবল মাত্র ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী, ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নারী ও পুরুষ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী যে কোনো বয়সী নারী-পুরুষরা এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন 

৩. মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র {৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র}


·         তিন বছর মেয়াদি ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। মুনাফার হার ১১.০৪%
·         ১৯৯৮ সালে চালু হয়
·         ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে পাওয়া যায়
·         বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মতো এটিও সবাই কিনতে পারেন।
·         একক নামে ৩০ লাখ টাকা ও যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায় এই সঞ্চয়পত্র 

৪. পেনশনার সঞ্চয়পত্র


·         পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রঃ মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১.৭৬%
·         ৫০ হাজার, ১ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে পাওয়া যায় ।  
·         পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে।
·         ২০০৪ সালে চালু হয়।  
·         তিন মাস পরপরও মুনাফা তোলা যায় এই সঞ্চয়পত্র থেকে
·         এ সঞ্চয়পত্র শুধু মাত্র  *অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, *আধা সরকারি, *সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, *অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, *স্বায়ত্তশাসিত, *আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং *মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরাই কিনতে পারেন।
এছাড়া আরো একটি “সঞ্চয়পত্র স্কীম” রয়েছে যার নাম ডাকঘর সঞ্চয়পত্র” এবং ইহা শুধুমাত্র ডাকঘর থেকে লেনদেন করা হয়।
·         ডাকঘর সঞ্চয়পত্র” ০৩ বছর মেয়াদি হয়।
·          ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বর্তমানে ১১.২৮%
·         ডাকঘর থেকে এই “সঞ্চয়পত্র” কেনা ও নগদায়ন করা যায়। যে কেউ এই “সঞ্চয়পত্র” কিনতে পারেন। 

 সঞ্চয়পত্র কারা কিনতে পারে

সঞ্চয়পত্র বিভিন্ন ধরনের, সব ধরনের সঞ্চয়পত্র সবাই কিনতে পারেন না। এ ব্যাপারে কিছু শর্ত  সরকার ঠিক করে দিয়েছে। যেমন, ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ,  ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশী নারী, যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষরা শুধু একক নামে “পরিবার সঞ্চয়পত্র” কিনতে পারবেন।
“পেনশনার সঞ্চয়পত্রও” কিনতে পারেন না সবাই। এ সঞ্চয়পত্র শুধু মাত্র  *অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, *আধা সরকারি, *সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, *অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, *স্বায়ত্তশাসিত, *আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং *মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরাই কিনতে পারেন।

পাঁচ বছর মেয়াদি “বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র” ও “তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র” সবার জন্য উন্মুক্ত। এটি দেশের সবচেয়ে পুরোনো সঞ্চয়পত্র। দেশের যে কোনো নাগরিক এটা কিনতে পারবেন

সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম / প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের-ই নির্দিষ্ট ফরম ও নিয়ম রয়েছে। গ্রাহকদের সেই নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হয়। গ্রাহক ও নমিনির দুই কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি সঙ্গে জমা দিতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয়আর গ্রাহক নিজে নমিনির ছবির সত্যায়ন করবেন । এ ক্ষেত্রে গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলকনমিনি যদি নাবালক হয় সেক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি লাগবে। বর্তমান নিয়ম অনুসারে সঞ্চয়পত্র কিনতে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) লাগবেএ ছাড়াও যে হিসাবে গ্রাহকের সুদ ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, সেই ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি লাগবে(ব্যাংক হিসাব অবশ্যই নিজ নামে হতে হবে)পেনশনার সঞ্চয়পত্র” কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ লাগে।

সঞ্চয়পত্রের নমিনি

সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক কোনো কারণে মারা গেলে টাকা পাবেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনি। নমিনি জটিলতা কয়েক বছর আগে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সরকার পরে প্রজ্ঞাপন দিয়ে তা স্পষ্ট করেছিল। এক বা একাধিক নমিনি সঞ্চয়পত্রে করা যায়। যদিও এখনো নমিনি মনোনয়ন  বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু , গ্রাহকেরা সাধারণত নমিনি মনোনয়ন দিয়ে থাকে ভবিষ্যতে যেন নগদায়ন জনিত ঝামেলায় পরতে না হয় তাই। নাবালককেও নমিনি করা করা যায় চাইলে। সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকের  মৃত্যু হলে মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদ নিয়ে সঞ্চয়পত্রের নগদায়ন করতে হয় এবং গ্রাহক ও নমিনি উভয়ই মারা গেলে আইনানুগ উত্তরাধিকারী সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে পারেন।

সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সীমা / কত টাকা পর্যন্ত কেনা যায়

শুধুমাত্র  একক নামে সবচেয়ে বেশি “সঞ্চয়পত্র” কেনার সুযোগ রয়েছে পেনশনার সঞ্চয়পত্রেই। এবং এর পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা। তবে এ সঞ্চয়পত্রে যুগ্ম নামে কেনার সুযোগ নেই। একক নামে ৪৫ লাখ টাকার পরিবার “সঞ্চয়পত্র” কেনা যায় । এটাও যুগ্ম নামে কেনার সুযোগ নেই তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক ৩০ লাখ টাকার “সঞ্চয়পত্র” কেনা যায় একক নামে । তবে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত যুগ্ম নামে এ “সঞ্চয়পত্র” কেনা যায়। আবার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রও  ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত একক নামে কেনা যায় । এটিও যুগ্ম নামে কেনা যায় ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত 

সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানোর নিয়ম

৫০,০০০, ১ লক্ষ, ২ লক্ষ, ৫ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের রয়েছে “পেনশনার সঞ্চয়পত্র” ।  পরিবার সঞ্চয়পত্র” রয়েছে ১০,০০০, ২০,০০০ , ৫০,০০০ , ১ লক্ষ, ২ লক্ষ, ৫ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের । এগুলো কেনা যায় জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয়, সব তফসিলি ব্যাংক ও সব ডাকঘর থেকে। একই জায়গা থেকে ভাঙানোও যায় এগুলো। ভাঙানোর দিন অবশ্য গ্রাহককে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হয়। যেসব জায়গায় পুরোপুরি অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়নি, সেসব জায়গা থেকে সঞ্চয়পত্র আর কেনা যাচ্ছে না।

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার

সকল সঞ্চয়পত্র ক্রয়, নগদায়ন, মুনাফা উত্তোলনের নতুন ও সঠিক নিয়ম।

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার

মাসিক মুনাফা ৮৬৪ টাকা পাওয়া যায় এক লাখ টাকার “পরিবার সঞ্চয়পত্রে”। তিন মাস পর পর ২ হাজার ৪৮৪ টাকা মুনাফা পাওয়া যায় তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রেআর তিন মাস পর পর ২ হাজার ৬৪৬ টাকা মুনাফা পাওয়া যায় “পেনশনার সঞ্চয়পত্রে০৫ বছর মেয়াদি “বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে” একেক বছরের জন্য একেক হারে মুনাফা পাওয়া যায়। 

সঞ্চয়পত্রের আরও কিছু

“সঞ্চয়পত্র” উচ্চ সুদ দিলেও, তার কিছু অন্য অসুবিধাও রয়েছেযেমন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখলে তার বিপরীতে যেমন জরুরি প্রয়োজনে দুই দিনের নোটিশে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়, কিন্তু কোনো ব্যাংকঋণ নেওয়া যায় না “সঞ্চয়পত্রজামানত রেখে“সঞ্চয়পত্রমেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভাংতে চাইলে সুদও কম পাওয়া যায়। এক বছর পার হওয়ার আগেই যে কোন “সঞ্চয়পত্র” কেউ ভাঙাতে চাইলে কোনো মুনাফাই দেওয়া হয় না। শুধু মূল টাকা নিতে হয়। আর ইটিআইন ও ব্যাংক হিসাব ছাড়া এখন আর “সঞ্চয়পত্র” কেনাই যায় না।

সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করব?

“সঞ্চয়পত্র” চুরি হলে, পুড়ে গেলে, হারালে বা অন্য কোনোভাবে নষ্ট হলে  বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, ডাকঘর ও জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো থেকে ডুপ্লিকেট কপি পাওয়া যায়। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়।

সঞ্চয়পত্রের অসুবিধা

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে আসল ও মুনাফার টাকা আর নগদে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙালেও টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাচ্ছে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে। গ্রাহকের মনোনীত ব্যক্তিকে সত্যায়িত করে দিলে উক্ত “মনোনীত ব্যক্তি” তুলতে পারেন মুনাফার টাকা। কিন্তু মূল টাকা “গ্রাহক” ছাড়া অন্য কারও তোলার কোনো সুযোগ-ই নেই বল্লেই চলে।  
সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে গ্রাহক কোনো মুনাফা পাবেন না। তবে মূল টাকা ফেরত পাবেন। ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করেও তা সঞ্চয়পত্র কেনার কাজে ব্যবহার করা যাবে।


Post Navi

Post a Comment

1 Comments

We welcome relevant, respectful comments. Any comments that are sexist or in any other way deemed hateful by our staff will be deleted and constitute grounds for a ban from posting on the site.

Close Menu